ব্যবসায়ী সোলায়মানের রহস্যঘেরা মৃত্যু ও ময়নাতদন্তের পর দাফন সম্পূর্ণ”
ফুলছড়ি গাইবান্ধাঃ

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ী সোলায়মান সরকার (৫১) এর রহস্যঘেরা মৃত্যু নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নিখোঁজের আটদিন পর স্বজনরা তার মৃতদেহের খবর পায়। গতপরশু শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে বগুড়া জেলার আদমদিঘী এলাকায় রেল লাইনের পাশ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে রেলগাড়ীর ধাক্কায় সোলায়মানের মৃত্যু হওয়ার ধারণা করলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর শনিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলাকালে বগুড়া পিবিআই পুলিশ আঙুলের ছাপ নিয়ে সোলায়মান সরকারের পরিচয় জানতে পারেন। এরপর পুলিশ শনিবার সকাল ১১টায় সোলায়মানের পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সোলায়মানের আত্মীয় পুলিশ বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল আবুল কালাম আজাদ প্রথমে বগুড়া রেল পুলিশের মোবাইলে কথা বলেন। এসময় তিনি নিশ্চিত হওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে মৃতদেহের ছবি নেন। ছবি পাওয়ার পরেই ব্যবসায়ী সোলায়ামানের লাশ সনাক্ত করে তার ভাই মোজাম্মেল। পুলিশ কনস্টেবল আবুল কালাম আজাদ বলেন, সোলায়মান সরকার নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা আত্মীয় স্বজনরা সম্ভাব্য সব জায়গায় তার খোঁজ করতেছিলাম। এরমধ্যে বিভিন্ন মোবাইল থেকে তিনি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বলে চিকিৎসার জন্য টাকা দাবি করা হচ্ছিল। যেগুলো প্রতারক মনে হয়েছে। নিহতের স্বজনরা বলেন, সোলায়মান সরকার নিখোঁজ হওয়ার পর কেন,কিভাবে আদমদিঘীতে গেলেন, তাছাড়া দুই স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। তারা বলেন, সান্তাহার এলাকার কিছু লোকের সাথে সোলায়মান সরকারের ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। তাদের সাথে লেনদেনের দ্বন্দ্বে সোলায়মানকে হত্যা করা হয়নি তো? পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করলে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। উল্লেখ, গত ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য বাড়ির অদূরে অবস্থিত দক্ষিণ বুড়াইল যাওয়ার জন্য ভোর রাতে বাড়ি থেকে বের হন সোলায়মান। তারপর থেকেই নিখোঁজ হন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ফুলছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সোলায়মানের ছোট ভাই আব্দুর রউফ। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে সোলায়মানের পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল দূর্বৃত্তরা। পরে এমন ঘটনায় সোলায়মানকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেতে ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলা হেড কোয়ার্টারের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে স্বজনরা।মানববন্ধনের দুইদিন পরেই তার রহস্যজনক মৃত্যু খবর পায় তার পরিবার । আজ ১২-০২-২০২৩ইং রবিবার সকাল ১০ঘটিকার সময় কত্তিকুড়া ঈদগা মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
Leave a Reply