নামাজ মুমিনের অন্যতম প্রধান ইবাদত। আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার উপর আরোপিত সকল ইবাদতের মধ্যে নামাজ এমন একটি ইবাদত যা ব্যক্তিজীবনকে গড়ে তুলে মুমিন হিসেবে আর সমাজ জীবনে ব্যক্তি কে গড়ে তুলে সুবাসিত পুষ্প তুললে।
নামাজের মাধ্যমেই জীবনের সর্বাঙ্গীন সফলতা লাভ করা যায়।ইসলামী শরীয়ত প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির উপর দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সালাত আদায়ের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে এরূপ পাবন্দির সাথে আদায় করে, উজু ও সময়ের এহতেমাম করে, রুকু সেজদা উত্তমরূপে আদায় করে এবং এইরূপ নামাজ আদায় করাকে নিজের উপর আল্লাহর হক মনে করে তবে জাহান্নামের আগুনের জন্য তাকে হারাম করে দেয়া হবে।(মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১৮৩৭২)
হযরত আবু যর রাযি. হতে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন শীত কালে বের হলেন, তখন গাছের পাতা ঝরছিল। তিনি একটি গাছের ডাল ধরলেন ফলে এর পাতা আরো বেশী ঝরতে লাগল। তিনি বললেন,হে আবু যর! আমি বললাম উপস্থিত, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, মুসলিম বান্দা যখন ইখলাসের সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজ পড়ে তখন তার গুনাহ সমূহ এমনভাবে ঝরে পড়ে যেমন এই গাছের পাতা ঝরে পড়ছে।( মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ২১৫৫৬)
দৈনিক ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় যে শুধু আমাদের গুনাহ মাফ করে তাই না সেই সাথে আমাদের কে সময়ানুবর্তিতা হতে শেখায়। এছাড়া দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সাথে আমাদের দৈহিক ব্যায়াম হয়ে যায় যা আমাদের দেহ মনের সুস্থ রাখারা জন্য অন্তত উপকারী।
সালাত যে শুধু পরকালীন সিদ্ধিলাভের মাধ্যম তা নয়। সালাত আদায়ের ফলে মনের মধ্যে এক আধ্যাত্মিক শান্তি মেলে যা দুনিয়ায় ভালো কাজ করতে সাহায্য করে এবং খারাপ কাজ হতে দূরে রাখতে সহায়তা করে।
সালাতই একমাত্র ইবাদত মাধ্যম যার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দৈনিক ৫ বার হলেও ক্ষমা প্রার্থনা করা যায় এবং আল্লাহ তায়ালার রহমতের সান্নিধ্যে লাভ করা যায়।
Leave a Reply