প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিচে পড়ে কাপড় আটকা পরা নারীকে গাড়িটি টেনে নিয়ে গেল অনেকদূর! আজ (২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক অধ্যাপকের গাড়ির নিচে পড়ে পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেলআরোহী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষকের গাড়ির নিচে পড়ে পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেলআরোহী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গাড়ির নিচে আটকে যাওয়া ওই নারীকে ছেঁচড়ে বেশ দূরে নিয়ে যাওয়ার পর একপর্যায়ে চালককে আটকে জনতার গণপিটুনি দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাবির চারুকলা অনুষদের সামনে ওই শিক্ষকের গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে বাম্পারের সঙ্গে আটকে যান ওই নারী। কিন্তু চালক গাড়ি না থামিয়ে ওই নারীকে ছেঁচড়ে রাজু ভাস্কর্য হয়ে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত যান। সেখানে জনতা পথরোধ করে তাকে গণপিটুনি দেয় এবং গাড়িটি ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ এসে তাদের দুজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ওই নারীকে আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান। গণপিটুনি খাওয়া চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
আর মৃত রুবিনা আক্তার (৪৫) রাজধানীর হাজারীবাগের সেকশন এলাকার বাসিন্দা। তাকে মোটরসাইকেলের পেছনে নিয়ে তেজগাঁও থেকে নিয়ে বাড়ির দিকেই যাচ্ছিলেন তার দেবর নুরুল আমিন।
বাংলার দর্পন পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘শাহবাগ মোড়ে এলে একটি প্রাইভেটকার পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। তখন তার ভাবি প্রাইভেটকারের বাম্পারের সঙ্গে বেঁধে যায়। এ সময় তার ভাবিকে টেনে হিঁচড়ে প্রায় নীলক্ষেত পর্যন্ত নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনতা গাড়িটিকে আটক করে এবং তার ভাবিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
গণপিটুনিতে আহত গাড়িচালক আজহার জাফর শাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী হাসপাতালে এসে ওই শিক্ষকের পরিচয় নিশ্চিত করেন বলে পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু জানান।
রুবিনা হকের স্বামী মারা গেছে দুই বছর আগে। সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া তার একটি ছেলে আছে। নাম রোহান। দুই বছর আগে বাবাকে হারানোর পর রোহান আজ তার মাকেও হারালো।
Leave a Reply