সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে ব্রাজিলের নতুন দিগন্তের উন্মোচন। শুরু টা কঠিন হলেও শেষ দিকের রিচার্লিসনের পর পর দুটি গোলে নাস্তানাবুদ করেন সার্বিয়ার দল কে।
লুসাইল স্টেডিয়ামে আগের দিন ফাঁস হওয়া দল থেকে একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ব্রাজিল। ফ্রেদের জায়গায় আসেন কাসেমিরো। ম্যাচের শুরুতে কিছুটা নিচে নেমে এসে আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করে ব্রাজিল।
ম্যাচের ৯ মিনিটে আবারও আক্রমণে যাওয়ার সুযোগ পায় ব্রাজিল। কাসেমিরোর কাছ থেকে পাওয়া পাস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েও সার্ব ডিফেন্সের জটলা এড়িয়ে শট নিতে ব্যর্থ হন নেইমার
ব্রাজিলের আগ্রাসী কৌশলের কারণে এ সময় প্রায় সবাই নিচে নেমে ডিফেন্ড করতে শুরু করে। আর চেষ্টা করে প্রতি আক্রমণে সুযোগ তৈরির।
ব্রাজিলের আগ্রাসী কৌশলের কারণে এ সময় প্রায় সবাই নিচে নেমে ডিফেন্ড করতে শুরু করে। আর চেষ্টা করে প্রতি আক্রমণে সুযোগ তৈরির।ব্রাজিলের প্রেসিং ও আগ্রাসী ফুটবলে রীতিমতো কোনঠাসা হয়ে পড়ে সার্বিয়া। নিজেদের অর্ধ ছেড়ে মাঝমাঠও পেরোতে পারছিল না তারা। তবে নিজেরা সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও ব্রাজিলকে ঠেকিয়ে রাখার কাজটা বেশ ভালোভাবেই করে যাচ্ছিল তারা।
৬২ মিনিটে রিচার্লিসন ঠিকই ভেঙে দেন সার্বিয়া ডিফেন্স। আক্রমণটা তৈরি করেছিলেন নেইমার। তবে শট নেওয়ার জায়গা বের করার আগেই ফাঁকা পেয়ে দ্রুত শট নিয়ে নেন পাশে থাকা ভিনিসিয়ুস। রিয়াল মাদ্রিদ তারকার প্রচেষ্টা সার্বিয়ান গোলরক্ষক মিলিনকোভিচ সাভিচ ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি শটে বল জালে জড়ান রিচার্লিসন।
৭৩ মিনিটের এই গোলটি ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার মতোই। ম্যাচে দারুণ খেলা ভিনিসিয়ুসের অসাধারণ এক পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিকে গোল করে ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত করেন এই টটেনহাম তারকা। একটু পর কাসেমিরোর শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে তৃতীয় গোলটি পাওয়া হয়নি ব্রাজিলের। তবে এই ম্যাচ দিয়ে ব্রাজিল যেন প্রতিপক্ষকে বার্তাও দিয়ে রাখল।
Leave a Reply