মৌসুমি আবহাওয়ার শীতল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীতকাল আসন্ন! নানারকম পিঠা, হাঁসের মাংস, বিয়ে, বনভোজন সবকিছু নিয়ে শীত অনেকের কাছে প্রিয় একটা ঋতু। শীতের হিমহিম বাতাস ত্বকের জন্য আরামদায়ক নয়! শীতের শুষ্কতা কেড়ে নেয় ত্বকের আর্দ্রতা। শীত যত বাড়তে থাকে, ত্বকের সমস্যা তত বেশি হতে থাকে। তাই, এসময় ত্বকের জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি যত্নের।
শীতকালে ঠোঁট বেশি রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। এক্সফোলিয়েশন ত্বকের ডেড সেলস দূর করতে সাহায্য করে, ত্বককে নিশ্বাস নিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রুক্ষ ত্বক কোমল করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় তথা ত্বক পলিশ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শীতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অপরিহার্য। শুষ্ক কিংবা তৈলাক্ত, সবধরনের ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। এসময় জেল বা ক্রিম বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।
অনেকেই শীতকালে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে চান না। আবার অনেকে মনে করেন শীতে রোদ কম থাকে, তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু শীতকালেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। স্কিনকে প্রোটেক্টেড রাখতে ঘর থেকে বের হওয়ার ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
শীতকালে অনেকেরই পানি পান করার পরিমাণ কমে যায়। এটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এসময় শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে ত্বক খসখসে ও রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বক ও শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
মুখের ত্বকের যত্ন নিলেও অনেকে হাতের যত্নের কথা ভুলে যায়। কিন্তু শীতকালে মুখের পাশাপাশি হাতের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তাই এসময় নিয়মিত হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন।
হাতের পাশাপাশি পায়েরও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। পা ফাটা রোধে নিয়মিত পেট্রোলিয়াম জেলি কিংবা গ্লিসারিন ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। পা ফাটার সমস্যা থাকলে সেটা অনেকটাই কমে যাবে।
ত্বকের যত্নের পাশাপাশি সুস্থ থাকার জন্য এসময় স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। শীতের মৌসুমে অনেকে গোসল এড়িয়ে যায়, এটি ভালো অভ্যাস নয়। শীতের সময়টাতে একটু যত্ন-ই পারে আপনার ত্বককে সফট ও হেলদি রাখতে।
Leave a Reply