আধুনিক যুগকে বলা হয়ে থাকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগ। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির এই উৎকর্ষের পেছনেও রয়েছে বিদ্যুতের বিশ্বস্ত হাত। বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিস্কার কম্পিউটারের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে বিদ্যুৎ। সব ধরনের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য দরকার বিদ্যুৎ। মহাকাশ অভিযান ও মহাকাশ বিজয়ের সাফল্যের মূলেও বিদ্যুতের অবদান রয়েছে।
নির্ভুল হিসাব, দিকনির্ণয়, মহাকাশের ছবি পৃথিবীতে প্রেরণ ইত্যাদি কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় নানা ধরনের প্রযুক্তি। সেই প্রযুক্তি আবার বিদ্যুৎ ছাড়া চলতেই পারে না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে বিদ্যুৎকে সর্বদা সঙ্গে নিয়ে। বিদ্যুৎকে বাদ দিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার সম্ভব নয়। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা ‘নাসা’ সম্পূর্ণভাবে বৈদ্যুতিক প্রযুক্তিনির্ভর। আধুনিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদ্যুতের পদচারণা রয়েছে। সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুতের ব্যবহার। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, শিল্প-কারখানার বিকাশ, কৃষি ব্যবস্থার আধুনিকায়নে বিদ্যুতের অবদান অনস্বীকার্য।
বর্তমান সভ্যতায় বিদ্যুতের বিকল্প নেই। মহামূল্যবান বিদ্যুৎ শক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বর্তমান সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে আরও উন্নত অবস্থানের দিকে।
বিদ্যুৎ আবিস্কারের ইতিহাস পুরোপুরি স্পষ্ট না হলেও ব্রিটিশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম গিলবার্টকে বলা হয় বিদ্যুতের আবিস্কারক। তিনি ১৫৭০ সালে প্রথম বিদ্যুৎ আবিস্কার করেন। বিদ্যুৎ আবিস্কারের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও বেশ কিছু বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীদের নাম- আলেসান্দ্রো ভোল্টা, লইগি গ্যালভানি, মাইকেল ফ্যারাডে ও টমাস আলভা এডিসন। তারা প্রত্যেকেই বিদ্যুতের বিভিন্ন দিক উদ্ভাবন করেছেন।
১৯০১ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ জ্বলে ওঠে ঢাকার আহসান মঞ্জিলে। এরপর থেকে ব্যাপকভাবে শুরু হয় সর্বক্ষেত্রে বিদ্যুতের ব্যবহার। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, চিকিৎসা, কৃষি, সংস্কৃতিসহ সব ক্ষেত্রের মূল চালিকাশক্তি এখন বিদ্যুৎ।
আধুনিক সভ্য জীবনের সঙ্গে বিদ্যুতের একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া আধুনিক জীবন চলতে পারে না। কাজেই আধুনিক প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি এখন মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। আর বিদ্যুতের সাহায্য ছাড়া এসব যন্ত্রপাতি পুরোপুরি অচল। বিদ্যুতের আগমনের ফলে জীবনের সবক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
Leave a Reply