সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৮ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা।
সোমবার (২১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে এ মানববন্ধন করেন এক হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী। এ ছাড়া দিনাজপুর ও খুলনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে মানববন্ধন করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেয়া চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০-এর অনুমোদিত পদসংখ্যা ৩২ হাজার ৫৭৭টি হলেও চলতি বছরের মার্চে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে আমরা যখন চূড়ান্ত ফলাফলের অপেক্ষায়, তখন আবার বলা হচ্ছে, বেশি প্রার্থী নিয়োগ দেয়া হবে না। এটা বেকারদের সঙ্গে অন্যায়।
মানববন্ধন শেষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেন চাকরিপ্রার্থীরা।
এ ছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী সচিব গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, অনুমোদনকৃত পদ ৩২ হাজার ৫৭৭টি হলেও করোনার দুই বছরে অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ শূন্য থাকায় ৫৮ হাজারের মতো চলমান নিয়োগ থেকে নিয়োগ দেবেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কয়েকজন কর্মকর্তা পদসংখ্যা বৃদ্ধির বিপক্ষে।
সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনার কারণে সে সময় পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। অবসরজনিত আরও ১০ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়ে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।
Leave a Reply