আল্লাহ ঈমানদারদের হিদায়াত বা পথনির্দেশ করেন। কোরআন ও হাদিস শরিফে হিদায়াতকে চার স্তরে বিন্যস্ত করা হয়েছে—
এক. প্রয়োজনীয় বিষয়ে সৃষ্টিগত অনুভূতি। যেমন—মুসা (আ.)-এর কথা উল্লেখ করে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘মুসা বলল, আমাদের প্রতিপালক তিনি, যিনি সব কিছুকে নিজস্ব আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর হিদায়াত (পথনির্দেশ) করেছেন।’ (সুরা : ত্ব-হা, আয়াত : ৫০)
দুই. হিদায়াত শব্দের অর্থ পথ দেখানো, সঠিক পথের সন্ধান দেওয়া। এই হিদায়াতের জন্য যুগে যুগে নবী-রাসুল ও আসমানি গ্রন্থ পাঠানো হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই (আল্লাহ) তাঁর রাসুলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বিনসহ প্রেরণ করেছেন—অন্য সব দ্বিনের ওপর একে জয়যুক্ত করার জন্য। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা : ফাতহ, আয়াত : ২৮)
তিন. আল্লাহর পক্ষ থেকে ভালো কাজ করার তাওফিক ও সামর্থ্য লাভ করা। এই অর্থে যারা ভালো কাজ করে, তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত।
চার. আল্লাহ কিয়ামতের দিন মুমিনদের জান্নাতে পৌঁছে দেবেন। এটি হিদায়াতের চতুর্থ ও চূড়ান্ত স্তর। হাদিস শরিফে এসেছে : ‘কিয়ামতের দিন মুমিন যখন কবর থেকে বের হবে, তার নেক আমল সুন্দর আকৃতি ধারণ করবে। তারপর সে বলতে থাকবে, আমি তোমার আমল। অতঃপর এই আমল আলো হয়ে, গাইডলাইন হয়ে ঈমানদারকে জান্নাতে পৌঁছে দেবে।’ (তাফসিরে মুনির)
প্রকৌশল সহযোগিতায়: মোঃ বেলাল হোসেন
Leave a Reply