অনলাইন ডেস্ক: লঞ্চডুবিতে বোনসহ মৃত্যু হয়েছে দিদার হোসেনের। ভাই-বোন (দিদার হোসেন ও রুমা বেগম) বের হয়েছিলেন বাসা থেকে। দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর খবর শোনার পর এখন স্বজনদের আহাজারি।
ঢাকার রহমতগঞ্জের ডালের ব্যবসায়ী দিদার হোসেন (৪৫)। গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের রিকাবীবাজারের পশ্চিমপাড়ায়।
সকালে বাসা থেকে বের হয়ে এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। দিদারের স্ত্রী রোকসানা স্তব্ধ। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন বারবার। প্রতিবেশিরা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাকে। কিন্তু কান্নায় যেন ভারী হচ্ছে পরিবেশ।
সোমবার (২৯ জুন) সকালে বড় বোনের অসুস্থ স্বামীকে দেখতে বোন রুমা বেগমকে (৪০) নিয়ে দিদার ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চে করে রওনা হন। দুর্ঘটনায় বোনসহ তিনি মারা যান। স্বজনরা জানান, সাত মাস আগে বিয়ে করেছেন দিদার হোসেন।
দিদারের স্ত্রী রোকসানা বলেন, ‘এমন কেন হলো?’
এদিকে, মুন্সীগঞ্জের কতজন মারা গেছেন—তা এখনও জানাতে পারেনি জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘আমরা এখনও জানি না কতজন লোক লঞ্চে ছিল, এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জের কতজন মারা গেছেন। তালিকা তৈরির চেষ্টা করছি। দুর্ঘটনার স্থল ঢাকার জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে তালিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, নিহতদের মধ্যে দরিদ্রদের ২০ হাজার করে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রকৌশল সহযোগিতায়: মোঃ বেলাল হোসেন
Leave a Reply